হেই, আসসালামু আলাইকুম।
ঘরে বসে মাসের লাখ টাকা ইনকাম করা যায় এরকম উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শেয়ার করব, কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে জব করে মাসের লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাহলে আর টাইম ওয়েস্ট করে লাভ কি বলুন? চলুন শুরু করা যাক? আর হ্যাঁ সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, কারণ আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য ভীষণ উপকারী হতে চলেছে।
আমার যদি এমন একটা জায়গায় দাঁড় করানো হয় যেখান থেকে দুইটি রাস্তা সামনে চলে গিয়েছে। একটা রাস্তা দিয়ে গেলে আপনি পৌঁছাবেন টাকাভর্তি একটা কুয়ার সামনে। অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে আপনি পৌঁছাবেন টাকা ভরতি এক সাগরের সামনে, তাহলে আপনি কোন রাস্তাটা বেছে নেবেন? আপনি যদি নেহায়েতই বোকা না হয়ে থাকেন তাহলে তো নিশ্চয়ই আপনি দ্বিতীয় রাস্তাটাই বেছে নেবেন?
কিন্তু সত্যি বলতে বাস্তবে আপনি হেঁটে চলছেন এই কুয়ার রাস্তায় আর শুধু আপনিই না আপনার মত পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মানুষই হাঁটছে এ কোয়ার পথে। আরো ছোট কুয়া থেকে সবাই মিলে টাকা তোলার জন্য কাড়াকাড়ি করছে , অন্যদিকে পাশের রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও খুব কম আর সেই রাস্তা ধরে আপনি যত খুশি তত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর হ্যাঁ আমি মোটেও বানিয়ে বলছি না , আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এমন কিছু স্কিল যেগুলো আপনি শিখলে, সেখান থেকে আপনি যদি একদম অলসো হন তবুও মাসে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর যদি আপনি পরিশ্রম করতে রাজি থাকেন, কষ্ট করতে রাজি থাকেন, সময় দিতে রাজি থাকেন , তাহলে সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন ৮ লাখ ১০ লাখ অথবা তার চেয়েও বেশি টাকা। অর্থাৎ আপনি যত স্কিল ডেভেলপ করবেন যত সময় দিবেন যত পরিশ্রম করবেন ততটাই আপনি সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
আমরা সবাই কি করছি? সবাই পড়ালেখা শেষ করে একটা ভালো চাকরি জোগাড় করতে চাইছি? অথবা যাদের বাবার টাকা আছে বা ইনভেস্ট করার মতন ক্যাপিটাল আছে তারা ছোটখাটো কোন ব্যবসা শুরু করতে চাইছি। ফিনান্সিয়াল এ্যাডভাইজারের ব্যবসা করা কি সবসময় ইন্সপায়ার্ড করছে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই আসলে ব্যবসা না চাকরি পেছনে ছুটছে। আপনি যতই ভালো স্টুডেন্ট না কেন শুরুতেই আপনার সেলারি আসলো কত হতে পারে? এবং যারা দীর্ঘদিন থেকে চাকরি করে ম্যানেজার লেভেলে পৌঁছে গেছে তারাই বা সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করে? আমি ধরে নিলাম কোনো সিনিয়র অফিসার অথবা একজন ম্যানেজার এর গড় বেতন হতে পারে ১ লাখ টাকা।
তার মানে তার সারা বছরে ইনকাম ১২ লাখ টাকা, এবার আপনি বলুন ধরেন আপনি মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করলেন এবং একটা ভালো ছবি তুললেন সেই ছবি অনলাইনে বিক্রিও করলেন তাহলে কত টাকা হবে?
১০০ টাকা ১ হাজার টাকা আচ্ছা ধরুন ৫০০০ টাকা? এর উপরে তো উত্তর আপনি দিবেন না তাই না?
কিন্তু তারপরও এই উত্তরটি ভুল কারণ আপনি একটি ছবি বিক্রি করে অনলাইন থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন, যেটা কিনা একজন সিনিয়র অফিসার কিংবা একজন ম্যানেজারের সারাবছরের ইনকাম।
অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এভাবেই ছবি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় এবং অনেকেই করছে। আর হ্যাঁ আমি আজকে আপনাদের কে প্রথম যেই কাজটা নিয়ে বলতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে ফটোগ্রাফি।
১. ফটোগ্রাফি করে ইনকাম
ফটোগ্রাফি করে কিভাবে আপনি মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন সেটা আমি একদম ডিটেইলে বলে দিচ্ছি। বর্তমানে যে যুগ এসেছে এখন তো সবার হাতে হাতে ক্যামেরা আর আমরা শখের বশেই প্রতিদিন কতইনা ছবি তুলি? কিন্তু সবটা কে কাজে লাগিয়ে আপনি আয় করতে হাজার হাজার টাকা না হাজার হাজার ডলার। এখন কিভাবে? কি উপায়ে আপনি কাজ টা করবেন ? সেটা আমি বলে দিচ্ছি। এটার জন্য প্রথমে আপনার থাকতে হবে একটা ক্যামেরা অথবা আপনার যদি ভালো ক্যামেরা সহ একটা ফোন থাকে তাহলে ও চলবে।
আর যদি না থাকে তাহলে আপনি অন্তত ১৫- ২০ হাজার টাকার মধ্যে একটা ক্যামেরা কিনে নেবেন। এরপর আপনি আপনার এলাকায় বা আশেপাশে খুজে প্রকৃতির জনজীবন কিংবা অনুমতি সাপেক্ষে মানুষের ছবিও তুলতে পারেন। আপনি যেকোনো কিছু ছবি তুলতে পারেন:-
- ফুল
- পাতা
- পাখি
- গাছ
- বিড়াল
- পোকামাকড় ইত্যাদি
যেকোনো কিছু হতে পারে আর এভাবে আপনি তিন চার দিন সময় লাগে এক হাজারটা ছবি তুলবেন। এর-পর আপনি এই ছবিগুলো কে কম্পিউটারের নিয়ে সেখান থেকে বাছাই করে ২০০ টি সুন্দর বা ইউনিক ছবি বের করবেন। এবং প্রয়োজন হলে সে ছবি গুলোকে কিছুটা এডিটও করতে পারেন। এরপর আপনি এরকম কিছু ওয়েবসাইটে ছবিগুলো আপলোড করবেন, যেখান থেকে ছবি কেনাবেচা করা হয়। এই ওয়েবসাইট গুলোর ব্যাপারে আমি একটু পরে বলছি , আগে আমি আপনাদেরকে ছবির দাম নির্ধারণের ব্যাপারে কিছু কথা বলব।
এখন এই ছবিগুলোর আপনি দাম নির্ধারণ করে দিলেন ২৫ সেন্ট অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ২৭ টাকা আর এটা হল ছবির বিক্রির সর্বনিম্ন দাম। এর চেয়ে কম দাম আপনি চাইলেও ধরতে পারবেন না, কারণ ওয়েবসাইটে এমনটাই সিস্টেম করা আছে। এখন প্রতিদিন যদি আপনার এই ২০০ টি ছবি থেকে ১০০ টি ছবিও গড়ে একবার ডাউন লোড হয়। তাহলে আপনি প্রতিদিন পাচ্ছেন ১০০× ২৫ সেন্ট অর্থাৎ ২৫ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় হয় ২৭০০ টাকা এবং ভারতীয় রুপি তে ২৩০০ টাকার মতো। আর ৩০ দিনে তাহলে আপনার ইনকাম হবে ৭৫ হাজার টাকা।
আর এটাতো গেল একটা ওয়েবসাইটের কথা , আপনি এভাবে একই ছবি চার-পাঁচটা ওয়েবসাইটে যদি আপলোড করেন আর প্রত্যেকটা থেকে গড়ে আপনি ৫০ হাজার টাকা পান ,তাহলে মাসে আপনার ইনকাম দাঁড়াবে ২ লাখ টাকা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এই ছবি থেকে আপনি এভাবে প্রতি মাসে টাকা পেতে থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ছবি থাকবে এবং যতদিন পর্যন্ত লোকেরা সেখান থেকে ছবি ডাউনলোড করবে। এভাবে আপনি যত ছবি আপলোড করতে থাকবেন তখন নতুন এবং আগের আপলোড করা ছবি সহ আপনার ইনকামও বাড়তে থাকবে।
আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই ছবিগুলো আসলে কেনে কারা? এই ছবিগুলো সাধারণত বাইরের দেশের মানুষের কিনে থাকে তারা তাদের কোনো ব্যবসায়িক কাজে, কোন প্রজেক্টে বা কোন ওয়েবসাইটে বা তাদের কোনো ভিডিওগ্রাফি তে ছবিগুলো ব্যবহার করে।
আসলে তারা তাদের ৫০০ – ১০০০ এর বেশি বাজেটের কোন প্রজেক্ট এর জন্য এরকম ১-২ ডলার দিয়ে কিনে থাকে। এখন আপনারা যারা জানেন না যে কোন ওয়েব সাইটগুলোতে ছবি বেচাকেনা হয়, তাদের জন্য আমি নিচে পাঁচটা ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম:-
ছবি তুলে ইনকাম করার সাইট ওয়েবসাইটগুলো নিচে দেয়া হল:-
- https://www.istockphoto.com/
- https://www.shutterstock.com/
- https://www.alamy.com/
- https://depositphotos.com/
- https://www.gettyimages.com/
মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায় শুধুমাত্র এটা জেনেই যদি আপনি ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করেন , তাহলে কিন্তু হবেনা। আপনাকে কিন্তু ছবি তোলার ব্যাপারে ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি ফটোগ্রাফির ব্যাপারে কিছু না জানেন যেমন কিভাবে ছবি তুলতে হয় , কিভাবে ফোকাস করতে হয়, কোন এঙ্গেল থেকে ছবি তুলতে হয় এবং কিভাবে ছবি এডিট করতে হয়। তাহলে আপনাকে এই বিষয়গুলো শিখতে হবে, আপনি কোন প্রফেশনাল কোর্স করতে পারেন। অথবা ইউটিউবে এই ধরনের অনেক চ্যানেল আছে যারা ফটোগ্রাফ এর ব্যাপারে টিপস দেয়, যারা ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং শেখায় সেই চ্যানেলগুলো থেকে ভিডিও দেখতে পারেন।
আপনি যখন ছবি তোলার ব্যাপারে দক্ষ হবেন , আপনার ছবির কোয়ালিটি ভালো হবে তখন আপনি ছবি আরো বেশি দামেও বিক্রি করতে পারবেন। আর তখন প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা আয় করাও আপনার জন্য অসম্ভব কিছু হবেনা।
দ্বিতীয় যে কাজটি করলে এই সময়ের অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। আর আমাদের দেশে প্রচুর নারী পুরুষ এই কাজ করে স্বাবলম্বী না বরং বড়লোক ও হয়ে যাচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে
২. ওয়েব ডেভেলপিং
ওয়েব ডেভেলপিং মানে হলো ওয়েবসাইট তৈরি করা, আপনি কোন কোম্পানির জন্য টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিবেন। আর যদি এই কাজে আপনি স্ক্রিল হন তো আপনি মাসে না বরং একদিনেও ২০০-৩০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। web-development আসলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ই একটা অংশ, তবে এই সেক্টরে এখনো অনেক কম লোক কাজ করছে। কারণ অনেকে এটাকে কঠিন মনে করে, মনে করে যে এই কাজটা সে পারবে না। বিষয়টা একটু কঠিন হলেও অসম্ভব না, কারণ অনেক স্বল্প শিক্ষিত এবং কম্পিউটার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র নলেজ নেই। এমন বহু ব্যক্তিরা এমনকি ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া ছেলে, মেয়েরা গৃহিণীরা , এই কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।
এটা কিন্তু কোন রকেট সাইন্স না যে আপনি পারবেন না , তারা যদি পারে আপনিও পারবেন। কিন্তু আপনার প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষণের যেটার জন্য আপনাকে তিন থেকে ছয় মাস সময় দিতে হবে। আপনি যদি এত টাকা আয় করতে চান তাহলে একটু কষ্ট তো আপনাকে করতেই হবে। তবে মনে রাখবেন যদি কষ্ট করে একবার শিখতে পারেন, তাহলে আপনার লাইফ সেটেল হয়ে যাবে। টাকা পয়সা নিয়ে আপনাকে আর কোনদিনও চিন্তা করতে হবে না, আর হ্যাঁ এক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য কিছু ইনভেস্ট ও করতে হবে। আপনার একটা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে আর একটা প্রফেশনাল কোর্স করতে হবে।
আপনি শুরুতে কোন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনে, অথবা ঘরে পড়ে থাকা কোনো পুরোনো ল্যাপটপ পিসিকে মডিফাই করে ও কাজ শুরু করতে পারেন। আর ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কোর্স আপনারা কোথা থেকে শিখবেন? আমি কিছু আইটি ইনস্টিটিউট এর লিংক নিচে দিয়ে দিছি:-
আপনি যদি কম্পিউটার সম্পর্কে একদমই কিছু না জানেন তা হলেও কোন সমস্যা নেই। কারণ এরা আপনাকে হাতে-কলমে ধরে সবকিছু শিখিয়ে দেবে, এবং কাজ শেখার পর আপনার অ্যাকাউন্ট ওপেন করা থেকে শুরু করে, আপনার আর্নিং হওয়া পর্যন্ত আপনার অর্ডার আসা পর্যন্ত তারা আপনাকে সাপোর্ট দেবে।
এবার আরেকটা টাকার খনি নিয়ে কথা বলব আর এই কাজটা এমন একটা কাজ এটাও আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন , এটার জন্য আপনারা শুধু দরকার হবে ভালো মানের একটা কম্পিউটার। কাজটা কি? কাজটা হচ্ছে ভিডিও এডিটিং:-
৩. ভিডিও এডিটিং
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ভিডিও এডিটিং এর কাজের এখন প্রচুর চাহিদা, মোটকথা পুরো world-wide ই ভিডিও এডিটিং সেক্টরে কাজের এখন প্রচুর চাহিদা। এবং ভবিষ্যতে এই কাজের চাহিদা আরো বাড়বে।
- অ্যাডভার্টাইজ
- নাটক-সিনেমা
- শর্ট ফিল্ম
- ডকুমেন্টারি
- ব্লগ
- ইউটিউব ভিডিও
- ওয়েডিং ভিডিও
- লেকচার
- কোর্স
এমন আরও বহু কাজে মানুষ ভিডিও তৈরি করছে, কিন্তু সবাই তো আর নিজেরা এডিট করতে পারে না? বা অতটা দক্ষ না ? তাই ভালো এবং প্রফেশনাল ভিডিও তৈরীর জন্য ভিডিও এডিটর এর প্রয়োজন হয়। আপনি ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে দেশে প্রোডাকশন হাউজ অথবা কোন বড় ইউটিউব চ্যানেলের সাথে ও কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ শুরু করেন, তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং এর প্রতিটা কাজের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। অবশ্য ছোট ছোট পাঁচ সাত মিনিটের ভিডিওর জন্য ৫০ বা ১০০ ডলার দিয়ে কাজ করানো হয়। তবে আপনার ইনকাম করার টার্গেট যদি বেশি হয়, তাহলে আপনাকে সময়ো দিতে হবে বেশি। আর আপনাকে শিখতে ও হবে বেশি। অর্থাৎ আপনার কাজে দক্ষতা থাকতে হবে।
আপনি যদি একটা বড় লিঙ্গের ভিডিও করতে তিন দিন সময় নেন , আর মাসে এভাবে দশটা ভিডিও এডিট করতে পারেন। প্রত্যেকটা ভিডিওর জন্য গড়ে ৫০০ ডলার করে পেলেও আপনি ৫০০০ ডলার পাবেন যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ লাখ টাকা। আর আপনি যদি তার চেয়েও বেশি টার্গেট অ্যাচিভ করতে পারেন , আরো বেশি রেটে আপনি কাজ পান তাহলে আপনার সেই ইনকামটা ৮-১০ লাখ টাকা ও ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার দক্ষতা যত বেশি হবে আপনি যত বেশি পরিশ্রম করবেন আপনার ইনকাম তত ভালো হবে।
এখনে সমস্যা হলো ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের একটা কম্পিউটারের দরকার হবে। যেটা কিনতে আপনার খরচ পড়ে যাবে ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এখন যদি আপনি কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই এই কাজ করতে চান। তাহলে সেটারও কিন্তু সুযোগ আছে প্রথমে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন এবং সেটা আপনি একদম ফ্রিতে গুগল থেকে শিখে নিতে পারছেন।
যে সমস্ত সফটওয়্যার দিয়ে সাধারণত ভিডিও এডিটিং এর কাজ করা হয় প্রফেশনালি:-
- এডোবি প্রিমিয়ার প্রো
- আফটার ইফেক্ট
- ফিল্ম মোরা ইত্যাদি।
এই সফটওয়্যার গুলো আপনাকে শিখতে হবে, আপনি ইউটিউব থেকেও শিখতে পারেন অথবা আপনি গুগলে সার্চ করে কিছু কোর্স করতে পারেন। এখন আপনি ইউটিউব দেখেই হোক বা কোর্স করেই হোক, আপনি যখন ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে ফেলবেন। ভিডিও এডিটর হিসেবে কোন টিভি চ্যানেল বা কোন ইউটিউবার কিংবা অন্য কোন কোম্পানি তে অনায়াসে জব করতে পারবেন। তখন আপনার নিজের পিসি বা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে না, কারণ আপনি যাদের সঙ্গে কাজ করবেন তাদের অফিসে গিয়ে তাদের পিসিতে আপনি কাজ করবেন।
আর এই কাজের জন্য ইন এভারেস্ট ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, তো তিন চার মাস চাকরি করার পরে, আপনার নিজের পিসি কেনার টাকা হয়ে যাবে। আর তারপর আপনি নিজে ঘরে বসেই ঝামেলা হীন ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে পারেন।
সর্বশেষ কথা:- আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছেন, ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় এমন তিন উপায়? পোস্টটি কেমন লাগলো তা নিশ্চয়ই কমেন্ট সেকশনে জানাতে একদমই ভুলবেন না। আপনার কাছে কোন আইডিয়া থাকলে শেয়ার করতে পারেন কমেন্ট সেকশনেই, আমরা পরবর্তীতে আপনার দেওয়া আইডিয়া আমাদের পোস্টে যুক্ত করার চেষ্টা করব।
পোস্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধুদের সাথে, আর আপনি যদি ইনকাম রিলেটেড পোস্ট করতে পছন্দ করেন, তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।